
ফুনাইয়ের আধিকারিকদের দাবি, আমাজনের গভীর জঙ্গলে থাকেন একটা গোটা জনজাতির। এই শেষ জীবিত সদস্য।কিন্তু ২০০৯–এর পর দেখা যায়নি। সমাজের সভ্যতার দিক থেকে তিনি অনেকটাই পিছিয়ে। তিনি চান না এই সভ্যতার সাথে নিজেকে মানাতে।
এই আদিবাসী মানুষটির বয়স ৫০-এর কোঠায়। বয়স অনুযায়ী বেশ সুস্থ, দাবি ফুনাইয়ের আধিকারিকদের। তাঁর চেহারা, তির-ধনুক ও অন্যান্য অস্ত্র চালানোর ধরন তাই জানান দেয়। তিনি বেশ স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করেন। পশু শিকার ও ফলমূল খেয়েই জঙ্গলের মাঝে দিন কাটায় সে।
কাঠ ও পাথর দিয়ে হাতে বানানো হাতুড়ি, তির,নাট-বল্টু ও বর্শা বানানোর কাজ তাঁর জানা। তা থেকে বোঝাই যায় তাঁর যন্ত্রপাতির ব্যবহারও জানা।তিনি অস্ত্র ছুড়ে শিকার করতেও যথেষ্ট অভ্যস্ত।বিশেষজ্ঞদের মতে বিগত ২৩-২৪ বছর ধরে জঙ্গলে তিনি একাই বাস করছেন।
ফুনাইয়ের আধিকারিকদের দাবি, তাঁকে আর দেখা না গেলেও এখনও অরণ্য অঞ্চলে তাঁর পায়ের ছাপ, বর্শাবিদ্ধ মরা পশু ইত্যাদিতে তাঁর বেঁচে থাকার নানা প্রমাণ পাওয়া যায়।
ফুনাইয়ের পক্ষ থেকে তাঁর সঙ্গে নানাভাবে যোগাযোগ করারও চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তা সম্ভব হয় নি। ‘ফুনাই’-এর যোগাযোগের চেষ্টাও ব্যর্থ হয় প্রতি বারই। তাঁর কাছে উন্নয়নের আলো পৌঁছে দিতে ফুনাইয়ের আধিকারিকরা চেয়েছিলেন। তাঁর যাতায়াতের পথে দেশলাই, কুঠার, খাদ্যশস্যের বীজ এসব নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস রেখেও আসা হয়। কিন্তু সে সব তিনি গ্রহণ করেননি।
বিশেষজ্ঞরা জানান,তিনি একা চলতেই ভালবাসেন। আর তাঁর একা থাকতে চাওয়ার মানসিকতা ও সভ্য সমাজকে এড়িয়ে চলার প্রবণতাই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে এই ব্যর্থতার কারণ বলে দাবি করেন।
‘ফুনাই’-এর রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর অ্যালটেয়ার অ্যালগেয়ারের মতে, ভিডিও ফুটেজে এই মানুষটিকে সব সময় একা চলাফেরা করতে দেখা গিয়েছে। বন্য শূকর, পাখি, বানর প্রভৃতি পশু শিকার করে ও বনের ফলমূল খেয়েই তাঁর দিন কাটে। তির চালনা ও জঙ্গলের মাঝে গর্ত খুঁড়ে যাবতীয় জৈবিক প্রয়োজন মেটাতে যথেষ্ট দক্ষ তিনি। জঙ্গলের মাঝে আদিবাসী জীবন কাটানোয় অনেক স্বাচ্ছন্দ তিনি। ফুটেজে তাই ধরা পরেছে।
ফুনাইয়ের আধিকারিকরা তাঁর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা চলিয়ে যাচ্ছে। কখনো তাঁর মানসিকতা বদলালে তা সম্ভব হবে।